×
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে বহুল কাঙ্খিত স্বস্তির বৃষ্টি বরগুনায় স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন পিরোজপুরে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিক উদযাপনে প্রস্তুতি সভা রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-২৭
  • ১৮৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চা-বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ বিকেলে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে চা-বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) বৈঠকের পর এ ঘোষণা আসে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন গেটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রমিকদেরকে কাজে যোগদানেরও আহবান জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব বলেন, ‘সব কিছু আলোচনা করে যা হয়েছে- সেটা হচ্ছে, শ্রমিকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন ১৭০ টাকা।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবাইকে কাজে যোগদান করার জন্য বলেছেন । আগামীকাল থেকে যেন সবাই কাজে যোগ দেয়।’ তিনি বলেন, শ্রমিকপক্ষের আশা ছিল- প্রধানমন্ত্রী তাদের পক্ষ হয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মজুরি বাড়াবেন, সেটি উনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আরেকটি কথা বলেছেন বলেও তিনি জানান যে ‘শিগগরিই তিনি চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন।’
নতুন দৈনিক মজুরি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধা আনুপাতিক হারে বাড়বে জানিয়ে আহমদ কায়কাউস বলেন,  এখানে ব্যাখ্যা করা দরকার যে চা শিল্পে কিন্তু  শ্রমিকদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হয়, যেটা মালিক পক্ষ বহন করে। সেক্ষেত্রে সেগুলো আনুপাতিক হারে বেড়ে যাবে। তিনি উদাহারণ দেন- যেমন নগদ মজুরী ১৭০ টাকার হয়েছে, তার সঙ্গে হবে প্লাকিং বোনাস আর কারাখানা অধিকার কাজের আয় সেটা আনুপাতিক হারে বাড়বে। বার্ষিক ছুটি ভাতা যেটা, সেটাও কিন্তু আনুপাতিক হারে বাড়বে, বেতনসহ উৎসব ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থ জনিত ছুটি, সেটাও বাড়বে আনুপাতিক হারে। এগুলো সবগুলোতে টাকা দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা, কাজে উপস্থিতি অনুযায়ী বার্ষিক উৎসব ভাতাও আনুপাতিক হারে বাড়বে।  এছাড়া আরও রয়েছে, ভর্তুকি মূল্যে রেশন যেটা দেয়, যেটা ২৮ টাকা দিয়ে কিনে, দুই টাকায় দেয় শ্রমিকদের। 
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব বলেন যে চিকিৎসা সুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পেনশন, চা শ্রমিক পোষ্যদের শিক্ষা বাবদ ব্যয়, রক্ষাবেক্ষণ এবং অন্যান্য ব্যয় এই সবকিছু মিলিয়ে যেটা পড়ে, সেটার হিসাব এখনো তাৎক্ষনিক করা সম্ভব হয়নি। তবে দেখা যাচ্ছে, সেটা হয়তো দৈনিক সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিকেল সোয়া চারটার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা-বাগান মালিকদের এ বৈঠক শুরু হয়। এতে দেশের বৃহৎ ১৩টি চা-বাগান মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দৈনিক মজুরি ৩শ’ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন চা বাগানের শ্রমিকেরা। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat