×
ব্রেকিং নিউজ :
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রতি রাষ্ট্রপতি’র অভিনন্দন গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া পাঠাগারে স্পিকারের বই উপহার ই-জিপি বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে তানজানিয়ার প্রতিনিধিদল ঢাকায় ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বৈঠক বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-০৭
  • ৩৪০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া যাবে না, নির্দেশ অমান্য করে জোর করে জনসভা করার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বিএনপির গণসমাবেশের নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকা বিভাগীয় গণ-সমাবেশ করার আবেদনের প্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়া পল্টন বা তার আশপাশের রাস্তায় সমাবেশ করতে ইচ্ছুক। বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশে লক্ষাধিক লোকসমাগম হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাকি লোক বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ফলে জননিরাপত্তা বিঘিœতসহ ভয়াবহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। এ কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, কালশি মাঠ কিংবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মাঠে সমাবেশ করলে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি হবে না।’
তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগসহ বিএনপির একাধিক সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু এখন রাস্তায় সমাবেশ করে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিঘিœত করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রচলিত আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি করার যে অধিকার, আইনের মধ্যে থেকে তারা করবেন এটা আমরা বিশ্বাস করি। আইনের মধ্যে থেকেই তারা জনদুর্ভোগ কমিয়ে সমাবেশ করবেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিসেম্বর মাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস ও বড়দিনসহ একাধিক জাতীয় কর্মসূচি রয়েছে। এ কারণে গত ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ অভিযান ও চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে।
নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, কর্মদিবসে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া তারা রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তাদের রাস্তা হতে সরিয়ে দেয়। এছাড়া তারা বিনা উস্কানীতে পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। তাদের হামলায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘বোমা রাখার খবর পেয়ে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। বিএনপি কার্যালয়ে বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা দলীয় কার্যালয়ে চাল, ডাল, খাবার-দাবার জমা করেছে বলে শুনেছি। তারা চাল-ডালের বস্তার মধ্যে ককটেল নিয়ে রেখেছে। আমরা সেখানে নাশকতা বিরোধী অভিযান চালিয়েছি।’
এসময় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat