কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সুষ্ঠু কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, অনেক তরুণ উদোক্তা বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে আসছে। তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দরকার। অনেক সময় কৃষকেরা এনজিও বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করে থাকেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, চড়া সুদের ঋণের হাত থেকে বাঁচাতে কৃষকদেরকে সহজ শর্তে, কম সুদে, জামানাত ছাড়া বিনা হয়রানিতে ঋণ দিতে হবে। এ বিষয়টিকে কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেইটের খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে বিসেফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমান সরকার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরেও একটা কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে কৃষককে স্থানভেদে ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিতে হয়।
তিনি বলেন, ভর্তুকি দেয়ার পরও অনেক কৃষক এত টাকা দিয়ে হারভেস্টার কিনতে পারে না। এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে, কৃষককে ঋণ দিতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী ব্যাংক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে একসঙ্গে বসে, সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে কৃষিঋণ বিতরণের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।