×
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-০৫
  • ১৭৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কোনক্রমেই অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না। তিনি বলেন, সরকারের পতন ঘটাতে চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকায় খামারবাড়িতে কেআইবি মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপি আন্দোলন করে আর হুমকি দিয়ে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না-উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন হবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাড়াবাড়ি করতে চাইলে মতিঝিল থেকে হেফাজত যেরকম ভাবে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, সেরকম পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তিনি মাটির টেকসই ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানীদেরকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। মাটির টেকসই ব্যবহার করতে হবে। এখানে বিজ্ঞানীরা দুর্বল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনেও হাতেকলমে বা মাঠের শিক্ষা নিতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামের সঙ্গে মাঠের সম্পর্ক খুবই কম উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে মাঠপর্যায়ে গিয়ে শেখাতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আধুনিক ডেইরি ফার্ম নেই, পোল্ট্রি ফার্ম নেই। মন্ত্রী কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। কারিকুলাম প্রণয়নে পরামর্শ দেন, কারিকুলাম আপডেট করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার। প্রবন্ধে তিনি জানান, দেশের শতকরা ৩৩ ভাগ জমি অবক্ষয়িত। টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শতকরা ৫৮ ভাগ বেশি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি জানান ২০৫০ সালের খাদ্য চাহিদা মেটাতে হলে বর্তমানের চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে।
পরে কৃষিমন্ত্রী ‘ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান করেন। এবছর সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এসএম ইমামুল হক, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী এমএ সাত্তার ও কৃষক গোলাম রব্বানী। বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার পেয়েছেন মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ছাব্বির হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মন্ডল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat