×
ব্রেকিং নিউজ :
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি যুক্ত করা হবে : পরিবেশ মন্ত্রী আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন চেয়ারম্যান কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে শিল্পমন্ত্রীর আহবান বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশী হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরো বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী ভারত শাসিত কাশ্মীরে নৌকাডুবে ৪ জনের প্রাণহানি; নিখোঁজ ১৯ দন্ডিত অধ্যাপক ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন ফরিদপুরে বাস-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৪ আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-২৪
  • ২৭৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আন্তঃআইওআরএ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি এবং আন্তঃআইওআরএ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাধা দূরীকরণের মাধ্যমে আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ রাজধানীতে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স (সিওএম) এর  ২২তম বৈঠকে সভাপতিত্বকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ একথা বলেন। উল্লেখ্য, ২৩টি সদস্য রাষ্ট্র ও ১০টি সংলাপ অংশীদারের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃসরকার সংগঠনটির বর্তমান চেয়ার  বাংলাদেশ ।
মোমেন বলেন, বর্তমানে আন্তঃআইওআরএ বাণিজ্য অনুপাত ৩৫ শতাংশ, যা ইউরোপের অনুরূপ মাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ইউরোপে বাণিজ্যের এই হার ৬০ শতাংশ এবং উত্তর আমেরিকায় প্রায় ৪০ শতাংশ। মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিধাহীন ভাবেই আমি বলতে পারি যে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দুই দশকেরও বেশি সময় পর আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাজারের যে সম্ভাবনা রয়েছে- তা সর্ম্পূণভাবে কাজে লাগানো হয়নি।’ তিনি বলেন, আইওআরএ টেকসই সংলাপ ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এখন এটি এই অঞ্চলের উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে প্রধান চালিকাশক্তি। মোমেন বলেন, ‘যদিও, আমরা আইওআরএ’কে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করতে এখনো আমাদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারিনি। বাংলাদেশ সবসময়ই এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণের জন্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও  আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চেয়ার হিসেবে, আইওআরএ’র কাঠামোকে আরো শক্তিশালী করতে সংগঠনটির সকল প্লাটফরমে কাজ করাকে আমাদের একান্ত কর্তব্য বলে মনে করি।’
ঢাকা এই সভার আয়োজন  করেছে। ১৬টি সদস্য দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছেন। দেশগুলো হলো- স্বাগতিক বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, কোমোরোস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাসকার, মালদ্বীপ, মৌরিতিয়াস, মোজাম্বিক, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ইয়েমেন এবং একটি সংলাপ অংশীদার দেশ জাপান। এছাড়াও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এই সভায় যোগ দিয়েছেন। দেশগুলো হলো- ফ্রান্স, ইরান, কেনিয়া, ওমান, মালয়েশিয়া, সিসিলি ও সিঙ্গাপুর। এই সিওএম-এ যোগদানকারী সংলাপ অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- চীন, মিসর, জার্মানি, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
মোমেন বলেন, বিশ্ব এখন ক্রমবর্ধমানভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দিকে আলোকপাত করছে। আর এজন্য, একটি আঞ্চলিক প্লাটফরম হিসেবে আইওআরএ, অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনের মতোই এর নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরতে- নিজস্ব প্রাধান্য বিস্তার, নিজস্ব যোগযোগ সৃষ্টি ও এর অভীন্ন কন্ঠ জোরদার করতে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি অঞ্চলের মতো একযোগে চলতে হবে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে- আমাদের গোটা অঞ্চলকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সাজাতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একথা মনে রেখেই সদস্য রাষ্ট্রগুলো ‘আইওআরএ-উন্নয়ন উদ্যোগ (আইডিআই)’ গ্রহণ করেছে এবং এটা বর্তমানে আঞ্চলিক ঐক্য, অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, ঢাকা ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এই অঞ্চলের অভীন্ন স্বার্থ সংরক্ষণে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে আমাদের দিকনির্দেশনা দিবে।’ তিনি বলেন, এই অঞ্চলে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আইওআরএ এর সংলাপ অংশীদারদের কাছ থেকেও আমাদের সহায়তা প্রয়োজন। তিনি এই অঞ্চলে অদূর ভবিষ্যতে যে কোন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়  অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন কাঠামোর ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরো দূরে চিন্তা করতে হবে। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তানের জন্য একটি নিবেদিত প্লাটফরম তৈরি করতে হবে।’ তিনি মহাসাগরকে দূষণমুক্ত রেখে এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য আইওআরএকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়তা ও অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আন্ত-সরকার সংগঠন আইওআরএ ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। আইওআরএ সিওএম এর ২১তম বৈঠকে বাংলাদেশকে  ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইওআরএ’র চেয়ারের দায়িত্ব দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat