×
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-২০
  • ৩৪৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জে ২৫টি স্পটে ওএমএস কর্যক্রমের আওতায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষ এসব স্পট থেকে চাল-আটা কিনে উপকৃত হচ্ছেন। এসব স্পটে ২৫ জন ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করছে। প্রতিদিন প্রতিদিন ৭ হাজার ২০০টি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে গোপালগঞ্জ, মুকসুদপুর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া পৌরসভা ও কাশিয়ানী উপজেলা সদরের বাসিন্দারা এ চাল-আটা কিনতে পারছেন। স্বল্প আয়ের মানুষ আটা-চাল কিনতে পেরে খুবই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
গোপালগঞ্জ শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার গৃহবধূ স্বপ্না বেগম (৩৫) বলেন, ওএমএস’এ ১৫ দিন পর পর ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা পাই। এ নিয়ে সংসার চালিয়ে নিতে হচ্ছে। আগে শুধু চাল পেতাম। এখন আটাও দেওয়া হচ্ছে। তাই কষ্ট একটু লাঘব হয়েছে। এখান থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা কিনতে পারি। সরকারের এ ওএমএস কার্যক্রমে ১৫ দিন পর পর চাল ও আটা পেয়ে ক্ষুধা মেটাতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, সংসারে আমার স্বামী ও ২ ছেলে নিয়ে আমরা ৪ জন। স্বামী দিন মজুরের কাজ করে। তিনি প্রতিদিন ৫ শ’ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সরকার ওএমএস চালু করে ১৫ দিন পর পর ৫ কেজি করে চাল ও ৫ কেজি করে আটা দিচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষুধার কষ্ট লাঘব হয়েছে।
শহরের ফকিরকান্দি এলাকার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম (৪০) বলেন, ওএমএস কার্যক্রম আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের কল্যাণকর উদ্যোগ। এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমাদের ক্ষুধার কষ্ট লাঘবের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি আমাদের জন্য করে দিয়েছেন। তাই আমাদের ক্ষুধার কষ্ট দূর করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শুভ কামনা রইল।
গোপালগঞ্জ শহরের গেটপাড়ার ওএমএস ডিলার শাহজাহান মোল্লা বলেন, সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত ৫ দিন আমরা চাল আটা বিতরণ করি। জনপ্রতি ৫ শ’ কেজি চাল ও ৫শ’ কেজি আটা বিক্রি করি। এ চাল-আটা ১শ’ জনকে দেওয়া যায়। আমরা মহিলা ৬০ জন ও পুরুষ ৪০ জনকে চাল-আটা দেই। সকাল সাড়ে ৮ টায় চাল-আটা বিক্রি শুরু করি। বেলা ১১ টার মধ্যে চাল, আটা বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
শহরের সদর উপজেলা পরিষদ এলাকার ওএমএস ডিলার আলহাজ¦ মোশাররফ হোসেন বলেন, গোপালগঞ্জ প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এ পৌরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ১৫। কিন্তু এখানে ১২ জন ডিলার রয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ডিলার নিয়োগ করা হলে ডিলারের দোকানে ভিড় কমবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুপ্রকাশ চাকমা বলেন, গোপালগঞ্জে পৌরসভায় ১২ জন, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় ৪ জন, কোটালীপাড়া পৌরসভায় ৪ জন, মুকসুদপুর পৌরসভায় ৩ জন ও কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নে ২ জন ডিলার দিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সে হিসেবে প্রতিদিন গোপালগঞ্জ পৌরসভায় ২ হাজার পরিবার, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় ১ হাজার ৬০০ পরিবার, কোটালীপাড়া পৌরসভায় ১ হাজার ৬০০ পরিবার, মুকসুদপুর পৌরসভায় ১ হাজার ২০০ পরিবার ও কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নে ৮০০ পরিবারের কাছে এ চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এখান থেকে প্রতিদিন ৭ হাজার ২০০ পরিবার চাল-আটা কিনতে পারছেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে টিসিবি কার্ড ও পরিবার কার্ডের মাধ্যমে আমরা ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু করি। কার্ডের মাধ্যমে আমরা ১৫ দিন পর পর ৫ কেজি করে বিতরণ করতাম। সরকার সেখানে আরো ৫ কেজি করে আটা দিচ্ছে। এখন ১৫ দিন পরপর ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে স্বল্প মূলে চাল-আটা কিনতে পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat