×
ব্রেকিং নিউজ :
দক্ষতার সাথে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ক সমন্বয় সভা নড়াইলে দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ পিরোজপুরে ঈদ-উল ফিতরে ৩ লক্ষ দরিদ্র মানুষ পাচ্ছে ৯০৯ মেট্রিক টন চাল প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হলেন সৈকত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় : ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-১৬
  • ৩৬৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

যশোর জেলার  ৮ উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই উৎসবে মেতেছেন চাষিরা।এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুরোদমে চলছে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। অনেক এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সোনালী শীষ দোল খেতে দেখা যাচ্ছে।ধান কাটা-মাড়াইয়ে কৃষকের পাশাপাশি দিনমজুরদের বেড়েছে ব্যস্ততা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে জেলার ৮উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১লাখ ৩৮ হাজার ৮০৮ হেক্টর জমিতে।কৃষি বিভাগের তৎপরতা ও কৃষকদের আগ্রহে আমন চাষাবাদ হয়েছে ১লাখ ৪০ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে।লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১হাজার ৫৩২ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন চাল।ইতোমধ্যে জেলায় ২০শতাংশ  জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।বিগত কয়েক বছর যাবত ধানের উৎপাদন ও মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। সরেজমিনে বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ধান কাটা মাড়াই চলছে। কেউ কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অনেক মাঠে কেবল ধানের হলুদ বর্ণ ধরেছে। কৃষকরা বলছেন, স্থান ভেদে বিভিন্ন সময়ে চারা রোপণের কারণে আগে পিছে ধান পাকছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি মৌসেুমে সদর উপজেলায় ২৬ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।এছাড়া মনিরামপুর উপজেলায় ২৩ হাজার ৫শ’৮৯ হেক্টরে,শার্শা উপজেলায় ২১ হাজার ১৪২ হেক্টরে,চৌগাছা উপজেলায় ১৮ হাজার ২শ’৬০ হেক্টরে,ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৭ হাজার ৮শ’৫০ হেক্টরে, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৭শ’৭০ হেক্টরে, কেশবপুর উপজেলায় ৯ হাজার ১শ’৩৪ হেক্টরে এবং অভয়নগর উপজেলায়  ৭ হাজার ৪শ’৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বাজারে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। বন্যার পানি সময়মত পেলে আমন চাষাবাদ আরও লাভজনক হতো। আমন ধান ঘরে তোলার পর এসব জমিতে সরিষা, শীতকালীন বিভিন্ন সবজিসহ বোরো ধান চাষাবাদ করবেন বলে জানান কৃষকরা।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ মো: মঞ্জুরুল হক জানান,সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেয়ায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছর রোপা আমন চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছর আমন চাষাবাদের পরিধিও বাড়ছে।আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষকরা কোথাও সরিষা, শীতকালীন সবজি চাষাবাদ শুরু করেছেন।এছাড়া রোপা আমন কাটা শেষে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নিবেন তারা। আমন ধান কাটার পরে সবজি আবাদ করা ছাড়াও বোরোর খরচ যোগান দিতে এ রোপা আমন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে কৃষকদের।চাষাবাদের অনুকূল পরিবেশ থাকায় কৃষকরা আমন ফসল উৎপাদনে লাভবান হচ্ছেন। বাজারে ধান ও চালের দাম সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আমন ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান ডিডি মঞ্জুরুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat