×
  • প্রকাশিত : ২০২২-১০-১৩
  • ৩৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে, ডিজিটাল অপরাধ তত বেশি বাড়বে।ডিজিটাল অপরাধ ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারকারীদেরও ডিজিটাল অপরাধ মোকাবেলার প্রস্তুতি থাকতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার আজ রাজধানীর বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি ও সাইবার ক্রাইম ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন এবং কীভাবে’ শীর্ষক এক যুব কর্মশালা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী ডিজিটাল অপরাধ মোকাবেলায় অভিভাবকদের নির্দেশনা অনুসরণ ও প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলা এবং প্রাথমিক স্তরে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়’ পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, ডিজিটাল সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ, ও বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম।
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধানে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কৌশল ও কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা ২৬ হাজার পর্নো সাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই এমন সাইট বন্ধ হচ্ছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ এক সময় পর্নো ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষ দশের তালিকায় ছিলো। সে অবস্থা এখন পাল্টেছে, শত দেশের তালিকাতেও এখন বাংলাদেশের নাম নেই।
মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষতিকর লিংক অপসারণে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সংযোজনের প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি’। তা ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্ত প্রত্যাহারে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হচ্ছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রত্যেক থানায় ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট থাকা উচিৎ। ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে যে সব অপরাধ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, ২০ বছর আগে সে গুলোর অস্তিত্ব ছিল না। এখন এই অপরাধের পরিধি যুদ্ধ-বিগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তার মানে যুদ্ধের একটি হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটালি আক্রমণ করা। এক দেশ অস্ত্র দিয়ে যেমন হামলা করে, তেমনি করে ডিজিটাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে।
অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat