×
ব্রেকিং নিউজ :
দিনাজপুরে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী জেলহাজতে কুমিল্লায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন রাঙ্গামাটিতে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন, কর্মসূচি ও কার্যক্রমগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহবান শিক্ষামন্ত্রীর বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে : স্পিকার নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন রিমি
  • প্রকাশিত : ২০২২-১২-২০
  • ২৫৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মেরুকরণের প্রচেষ্টা চলাকালে ক্ষমতাধর দেশগুলোর মতো কৌশলগত গবেষণার ক্ষেত্রে আরও গবেষণা করার উপর জোর দিয়েছেন। 
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ক্ষমতাধর দেশগুলো সুদক্ষ গবেষণা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সুবিধা উপভোগ করে... সঠিক তথ্য ও গভীর পর্যবেক্ষণসহ কৌশলগত গবেষণা সরকারগুলোকে টিকে থাকা এবং উন্নতির কৌশলগুলোর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে।
রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত বিআইআইএসএস রিসার্চ কলোকিয়াম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৌশলগত বিষয়ের ওপর গবেষণা ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, একটি জাতির ঝোঁক এবং এর রাজনৈতিক জোটবদ্ধতার কৌশলগুলোর মতো একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে আড়ালে থাকা সুযোগগুলো উপলব্ধি করতে সহায়তা করে।    
মোমেন বলেন, ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক ও জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষ করে এই সময়ে পরিবর্তিত পরিবেশে কৌশলগত গবেষণার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অববাহিকার দেশ হিসেবে আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে। 
মোমেন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন নতুন গ্রুপ ও ব্লক গড়ে উঠছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর ক্রমবর্ধমান জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে এবং উগ্রবাদ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন উদ্ভূত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে আন্তর্জাতিক মূলধারায় দৃশ্যমান উপস্থিতির মাধ্যমে একটি সূচনা ও সুপরিকল্পিত ভূমিকা পালন করেছে। 
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মানবিক কূটনীতির সফল ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার অনুকরণীয় ভূমিকা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নীত করতে সফলভাবে পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির মাধ্যমে প্রতিবেশী ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পেরেছে। 
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সফল কূটনীতির কারণেই এটি (উত্তরণ) সম্ভব হয়েছে।
বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন এবং এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি তিনটি সেশনে বিভক্ত ছিল। প্রতিটি অধিবেশনে তিনজন বক্তা তাদের সাম্প্রতিক গবেষণা উপস্থাপন করেন যা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সাথে সম্পর্কিত।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিমন্ডলের সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মো. আবদুল মুবীনের সভাপতিত্বে নিরাপত্তা ও কৌশলগত বিষয়ের ওপর দ্বিতীয় অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় অধিবেশনে ‘ডিপ্ল্যোমেসি এন্ড নেগোসিয়েশন’ শীর্ষক আলোকপাত করা হয়, এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
তাদের আলোচনা এবং উপস্থাপনায়, বক্তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক দিকগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতীয় স্বার্থের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat