স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আহ্ছানিয়া মিশন মাদককে নিরুৎসাহিত করার জন্য সবজায়গায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজের জন্য কি প্রয়োজন তা তারা চিহ্নিত করে এবং তার প্রতিকার কি হবে সে অনুযায়ী কাজ করে। বিশেষ করে নারী মাদকাসক্তদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছে।
তিনি আজ ‘পরার্থপরতার আনন্দদর্শন : কাজী রফিকুল আলম ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হসপিটালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। আহ্ছানিয়া যেটাই করে সুন্দরভাবে করে।
তিনি বলেন, ‘এই সবকিছুর পিছনে রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম। তিনি চলতে পারছেননা তারপরও তিনি থেমে নেই। চলছেন এগিয়ে যাচ্ছেন সমাজের কাজ করছেন।’
খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলম।
গ্রন্থটির প্রণেতা বিশিষ্ট সমাজতাত্ত্বিক ও গবেষক খন্দকার সাখাওয়াত আলী বলেন, বইটিতে তিনটি চরিত্র রয়েছে। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা, কাজী রফিকুল আলম ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। ৭টি অধ্যায়ে বইটি সাজানো হয়েছে।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের জ্ঞান ভান্ডারে এই বইটি একটি অমূল্য সংযোজন। বিশ^ বদলেছে তাই এনজিও শব্দের পূনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা হযরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এবং মিশনের বর্তমান সভাপতির নিরলস প্রচেষ্টায় মিশনের সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক উম্মেষ, বিকাশ ও অর্জনসমূহের প্রাসঙ্গিক বর্ণনা ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে রচিত হয়েছেÑ ‘পরার্থপরতার আনন্দদর্শন : কাজী রফিকুল আলম ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ।
অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ.এফ.এম গোলাম শরফুদ্দিন।