×
ব্রেকিং নিউজ :
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপ প্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী দেশের মধ্যাঞ্চলে বিস্ফোরণের পর ‘বিদেশ থেকে হামলার খবর পাওয়া যায়নি’: ইরানের মিডিয়া মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জাতির পিতার সমাধিতে রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন তেহরানের ২টি বিমানবন্দরে আবারো ফ্লাইট চালু জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস-এর মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী রাঙ্গামাটিতে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-৩০
  • ২৫৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা। এখন আমাদের কর্তব্য তাঁর প্রতি ভালোবাসা দেখানো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সকল মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ছেলে বেলাতেই তিনি নিজের গায়ের জামা খুলে গরীব সহপাঠীদের দিতেন। পিতার গোলার ধান গ্রামের দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তাঁর ছিল অদম্য সাহস  ও মনোবল। সেজন্যই তিনি বঙ্গবন্ধু। 
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। এরপর তিনি বাঙালির অধিকার ও স্বাধীকার অর্জনের প্রত্যেকটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ঘরে বসে রাজনীতি করেন নি, মাঠের রাজনীতি করেছেন। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া এবং  বেনাপোল থেকে তামাবিল পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে সশরীরে গিয়ে দেশের মানুষকে দাবি আদায়ে সচেতন করেছেন। তারপর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।  তিনিই একমাত্র বাঙালি রাজনীতিক যিনি তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সাথে আপোষ করেননি। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে পালিয়ে যান নি। এই রাজনীতির জন্যই তাঁকে ১৪ বছর জেল খাটতে হয়েছে। আর এ কারনেই  তাঁর ডাকে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি  সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পাকিস্তানি সামরিক শাসকরাও যাকে মারার সাহস দেখাতে পারেনি, তাঁকে এদেশেরই  কিছু সংখ্যক কুলাঙ্গার সন্তান দেশি-বিদেশি অপশক্তির সহায়তায় সপরিবারে  হত্যা করেছে। হত্যা করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। ২৫ বছর এই হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রূদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে  হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিল শুনানি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলো।  এই ছিলো তাদের চিন্তাধারা ও কর্ম।
মানুষের আয় ও সঞ্চয় অনুযায়ী দেনমোহর নির্ধারণ করার আহবান জানিয়ে কাজীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যুগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অর্থনৈতিক সক্ষমতাও বেড়েছে।  তিনি বলেন,  ১৪-১৫ বছরের মেয়ের সুস্থ সন্তান হতে পারেনা। সবকিছু বিবেচনা করে  মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ করা হয়েছে।  ১৮ বছরের কম বয়সী  মেয়েদের বিয়ে নিবন্ধন না করার নির্দেশ দেন তিনি। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সমিতির মহাসচিব হাফেজ সাগর আহমেদ শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার  বিভাগের  সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat