দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
এছাড়াও, সভায় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পুরো জাতির উন্নয়ন না করে, শুধু ব্যক্তির উন্নয়ন করলে দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সবার আগে আমরা এ দেশের নাগরিক। বিদেশে ব্যক্তি নয়, দেশ দিয়ে উন্নয়নের কাপকাঠি পরিমাপ করা হয়।
তিনি বলেন, এমন কোন কিছু করা যাবে না, যাতে আগামী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারণ আগামী প্রজন্মের ওপরই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে গোটা জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জয় বাংলা আমাদের দেশের স্বাধীনতার শ্লোগান। বাংলাদেশের জন্মের শ্লোগান। এই শ্লোগানকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা স্থপতি হিসেবে অস্বীকার করে ও জয় বাংলাকে বুকে ধারণ করতে পারে না, তারা কখনো স্বাধীনতাকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারবে না। আর তারাই দেশে বসে স্বাধীনতার বিরোধীতা করে।
তিনি বলেন, তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করবে, তাদেরকে তো আর স্যালুট দেওয়া যাবে না। তাদের সঙ্গে কখনো বন্ধুত্বও হতে পারে না। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
শহীদ শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাজুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র, মুক্তিযুদ্ধেও অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি (শহীদ শেখ কামাল) বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃত ছিলেন। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।