চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১৯ জুলাই গণবুস্টার দিবসে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ২টি করে কেন্দ্র থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে ৫শত করে দুই কেন্দ্রে ১ হাজার জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে টিকা গ্রহণকারীদের যাবতীয় সেবা প্রদান করা হবে এবং কেন্দ্রগুলোতে প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বাটালি হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আজ রবিবার বিকেলে গণবুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনেশন দিবসের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, মো. শহীদুল আলম, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, এম আশরাফুল আলম, মো. ইসমাইল, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী. মো. জাবেদ. পুলক খাস্তগীর, জিয়াউল হক সুমন, গোলাম মো. জোবায়ের, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ডা. সরোয়ার আলম ও ডা. ইমাম হোসেন রানা।
মেয়র বলেন, নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মঙ্গলবার দিনব্যাপী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে করোনা বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৪ মাস পার হলেই ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী সবাই এই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। তবে টিকা নিতে আসার সময় অবশ্যই টিকার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, করোনাকে অবহেলা করার কোন অবকাশ নেই। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন একটি কার্যকরী সমাধান। কোভিড ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ সুফল পেতে হলে, অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে- নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং ও মসজিদ, পেগোডা, মন্দির ও গির্জায় ইমাম ও পুরোহিতদের মাধ্যমে এলাকার জনসাধারণকে অবহিত করাসহ টিকা গ্রহণে আগ্রহী করে তোলার জন্য কাউন্সিলরদের স্ব স্ব এলাকায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
অতীতের ন্যায় চসিকের সুনাম অক্ষুণœ রেখে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম সফল করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র সবাইকে মাস্ক পড়ে টিকা কেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ জানান।