×
ব্রেকিং নিউজ :
ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব পটুয়াখালীতে এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের ইসরাইলি বাধা সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণবহরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০২-১৯
  • ৬৭৯৮১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) একটি জরুরি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আবদুর রহমান বলেছেন, রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুসমূহ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধসমূহের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি করে চলেছে। ফলে বিশ্ব জুড়ে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স একটি মারাত্বক জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসাবে দেখা দিয়েছে। 
আজ সোমবার ঢাকার গুলশানে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার ও করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ এ সমস্যায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা হয় তা যেন যথাযথ হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো: এমদাদুল হক তালুকদার এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো: আলমগীর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো: সালাউদ্দিন, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. নাহোকো ইডা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ট্যারেন্স টিনো ফুসায়ার বক্তব্য প্রদান করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে প্রাণিস্বাস্থ্যের উপর যেমন প্রভাব রয়েছে তেমনি পরিবেশের উপরও প্রভাব রয়েছে। তবে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিমাইক্রোবিয়ালস এর ব্যবহারের পরিমান জানা এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। 
এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)কে  জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে আমরা এন্টিবায়োটিক পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলাম, কিন্তু বর্তমানে এর যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে এটি ভয়ানক রূপে ধরা দিয়েছে। তিনি এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর অশুভ প্রভাব যেন গবাদিপশু, মাছ-মাংসে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
প্রাণিচিকিৎসায় রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের প্রেসক্রিপশন এবং পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা উচিত নয় উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-এর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কৃষকদের সচেতন করা দরকার। তিনি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল খামার পর্যায়ে কার্যকর নিয়ন্ত্রকের কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ আমিষ যেমন মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং দুধ উৎপাদনে বর্তমানে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও অচিরেই তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক্যাল নেতৃত্বে যেমন বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি আমরা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো বলে আশা প্রকাশ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat