×
ব্রেকিং নিউজ :
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি সম্ভাবনাকেও হাইলাইট করতে হবে : হুইপ কমল মাদারীপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০ রাঙ্গামাটিতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন ও অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১২-০৫
  • ৬৭৮৭৬৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামের চলমান ৪টি প্রকল্প শেষ হলে উদ্ধার হওয়া খালে নৌকা চালানোর পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে রাজাখালী খাল-২ থেকে কল্পলোক আবাসিক এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ দু’টি, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি করে ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মেয়র বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া খালগুলোকে রক্ষার্থে প্রকল্প শেষ হলে সেখানে নৌকা চালুর পরিকল্পনা আছে আমার। কারণ প্রকল্প শেষ হলে খালগুলো রক্ষা করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য প্রকল্প শেষ হলে খালগুলোতে বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরির জন্য বারইপাড়া খালসহ উদ্ধার হওয়া সবগুলো খালে নৌকা ও স্পিডবোট চালু করা হবে। খালে যখন মানুষ ময়লা দেখবে না বরং স্বচ্ছ জলপ্রবাহে বিনোদনের উৎস খুঁজে পাবে তখন মানুষ আর খালে ময়লা ফেলবে না। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও রুটিন ওয়ার্ক পরিচালনা করলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা কমবে। পাশাপাশি, এ প্রকল্পগুলোর আওতায় খালপাড়ে নির্মিত সড়ক ও কালভার্টের কারণে নগরীর যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়বে।’
প্রকল্পগুলোর সুফল পেতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাড়ানো হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘আমরা প্রকল্প এলাকাগুলোতে  ময়লার ভাগাড়ও নির্মাণ করব, যাতে খালপাড়ের মানুষ বর্জ্য ফেলে খাল ময়লা দিয়ে ভরিয়ে না ফেলে। প্রকল্প এলাকায় উদ্ধার হওয়া খালসংলগ্ন ভূমি রক্ষায় সীমানা নির্ধারণী খুঁটি বসানো হবে। কারণ এ খালগুলোকে রক্ষার সাথে কর্ণফুলী এবং চট্টগ্রামের অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল আর জোয়ারে নগরীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। বৈশ্বিক জলবায়ুগত পরিবর্তনে আগামী কয়েক দশকে ভাটির দেশগুলোতে এই প্রবণতা আরো বাড়বে। আমাদের লক্ষ্য, এই পানি যাতে জমে দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা তৈরি করতে না পারে সেজন্য যতদ্রুত সম্ভব পানি নগরী থেকে সমুদ্রপথে নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা করা।’
প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী জানান,  সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর বাকলিয়া এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পরস্পর সংযুক্ত ৩০-৩২ ফুট প্রস্থের রাজাখালী-১, রাজাখালী-২ এবং রাজাখালী-৩ খাল তিনটির খনন কাজের পাশাপাশি দুই পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল, রেলিং নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া খাল দখল ঠেকাতে দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে সড়কও। খালে এত বেশি পলিথিন ছিল যে, অনেক স্থানে ৪ মিটার পর্যন্ত মাটি তুলে ফেলতে হয়েছে। এরপর বালু ফেলে ভরাট করে বিটুমিনের পরিবর্তে আরসিসি রোড নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে সড়কগুলো দীর্ঘমেয়াদে খালের পানিতেও নষ্ট না হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম, মশক ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat