×
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৪-১১
  • ৩২৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলায় ক্যান্সার, থাইরয়েডসহ দুরারোগ্য ব্যাধি শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় পরমাণু চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র চালু হচ্ছে। যশোর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মিত ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) থেকে মিলবে ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য ব্যাধি শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা সেবা।
যশোর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এটি চালু হলে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবার দ্বার খুলবে এ জেলায়। এখানে  স্বল্পখরচে পাওয়া যাবে সর্বাধুনিক পরমাণু চিকিৎসা সেবা।আগামী জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে উদ্বোধন করে চিকিৎসা সেবা দিতে চূড়ান্ত  প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইনমাস যশোরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা: জামিউল হোসাইন বলেন, পরমাণু চিকিৎসা একটি বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা। এতে ব্যবহৃত হয় পেট সিটি, স্পেক্ট সিটি, স্পেক্ট গামা ক্যামেরা ও বিভিন্ন ধরনের হরমোন অ্যানালাইসিস সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি। এ ছাড়াও অন্যান্য যন্ত্র যেমন-অত্যাধুনিক আলট্রাসাউন্ড, কালার ডপলার, বিএমডি প্রভৃতি ব্যবহৃত হবে এ সেবা কেন্দ্রে। এসব যন্ত্রপাতির সাহায্যে থাইরয়েড, ব্রেইন, বোন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, ফুসফুসসসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোগ দ্রুত ও সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়। ফলে ক্যান্সার, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা যথাসময়ে করা সম্ভব হবে। যশোর মেডিকেল কলেজ (যমেক) ক্যাম্পাসে ইনমাস প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এটি চালুর পর যশোরেই ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশ^মানের পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ থাইরয়েড ক্যান্সারের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।এটি স্থাপনের ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যশোর। ইনমাসে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের স্ক্যান করা হয়। হৃৎপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন ঠিক আছে কিনা। থাইরয়েড গ্লান্ড কোনো কারণে রোগাক্রান্ত হলে, পেট সিটি স্ক্যান, শরীরের কোথায় ক্যান্সার, কোন পর্যায়ে আছে, ক্যান্সার চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসা কার্যকর হলো কিনা সেটাও বলে দেয়া জানা যাবে স্ক্যান করে।
সূত্র মতে, যশোর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।রোগ পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য মেশিন ও যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।মেশিন ও যন্ত্রপাতি বসানোর পর জনবল নিয়োগ করে এটি চালুর পর থাইরয়েড, ব্রেইন, বোন ক্যান্সার, কিডনি, লিভারের রোগে আক্রান্তরা যশোর ইনমাস থেকেই বিশ্বমানের সেবা পাবেন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো গরীব ও সাধারণ মানুষকে কম খরচে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উন্নত সেবা দেয়া। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা খরচ নির্ধারণ করা হবে। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন টেস্ট এবং রিপোর্ট করা হবে সেটা নিঃসন্দেহে বিশ^মানের বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat