×
ব্রেকিং নিউজ :
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী কুকি-চিনের নারী শাখার সমন্বয়কসহ দুইজন বান্দরবানের কারাগারে সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন রাঙ্গামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সরকারের ধারাবাহিকতার জন্যই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের শুদ্ধাচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয় : চট্টগ্রামে টিআইবি কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যবসা সম্প্রসারণে ইএসজি কমপ্লায়েন্স রিপোটিং স্ট্যান্ডার্ড থাকা জরুরী সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-১৪
  • ২৯৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমদানি করা ৭৩ কন্টেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। 
এরমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে রেফার্ড (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) ও ড্রাই কনটেইনারসহ মোট ১২টি এবং বিভিন্ন অফডকে থাকা ৬১টি কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করা হবে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর উত্তর হালিশহরের বে-টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ রোডের চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত একটি খোলা জায়গায় এই ধ্বংস কার্যক্রম চালানো হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৭৩টি কন্টেইনার পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। এসব পণ্যচালান ধ্বংসের জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একজন করে প্রতিনিধিকে নিয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। নগরীর হালিশহরের আনন্দবাজারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গাকে এসব পণ্য ধ্বংসের স্থান হিসেবে অনুমোদন দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত চট্টগ্রাম বন্দরের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস বিষয়ক কমিটির ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৩ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে। ১৫ লটের এসব কন্টেইনারে বন্দরের ভেতরে রেফার্ডসহ ড্রাই কন্টেইনার আছে ১৫টি। বিভিন্ন অফডকে ড্রাই পণ্যের কন্টেইনার আছে ৬১টি। এসব কন্টেইনারে ধ্বংসযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল (পচনশীল) আদা, সুপারি, খেজুর, জুস, ক্যারোলা বীজ, মাছের খাদ্য, মাছ ইত্যাদি রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার প্রিভেন্টিভ মো. মাহফুজ আলম বলেন, এবার ৭৩টি কন্টেইনার ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি কন্টেইনার রয়েছে বন্দরে এবং ৬১টি কন্টেইনার রয়েছে অফডকে। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিজস্ব কোনও জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেয়া হবে। এ কারণে কোনও দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
প্রসঙ্গত, আমদানিকারকরা অনেক সময় বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারি নেন না। এছাড়া শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমদানির চেষ্টা করলে ভৌত পরীক্ষার সময় কর্তৃপক্ষ কিছু পণ্য আটক করে।
নিয়ম অনুযায়ী, আমদানিকারকদের ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিতে নোটিশ দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের আমদানির টাকা না পেলে কাস্টমস হাউস সেসব পণ্য নিলাম করে। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও আমদানিকৃত পণ্য বন্দরে নষ্ট হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat